Dover Beach – Matthew Arnold – Summary and Discussion in Bengali
Dover Beach ইংল্যান্ডের পূর্বদিকে উপসাগরের তীরবর্তী বন্দর। এটি ইংল্যান্ডের প্রবেশদ্বার বলে পরিচিত। ফ্রান্সের উপকূল এখান থেকে মাত্র বাইশ মাইল দূরে। ১৮৫১ সালে ম্যাথু আর্নল্ড তাঁর স্ত্রী Frances Lucy কে সাথে নিয়ে ইংল্যান্ডের দক্ষিণ উপকূলে ভ্রমনে গিয়েছিলেন যেখানে ডোভার প্রণালীর খাড়া পাহাড়গুলো দাঁড়িয়ে আছে। কবি ম্যাথিউ আর্নল্ড তাঁর DoverBeach কবিতায়, সমুদ্রের শান্ত নির্মল পরিবেশকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। তবে ডোভার বিচ কবিতায় কবি সমুদ্রের শান্ত নির্মল, চন্দ্রালোকিত সমুদ্রতটের প্রাকৃতিক অসাধারণ সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে পুরোপুরি মেশাতে পারেননি। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে কঠিন বাস্তবের আঘাত। বাস্তব জগতের সাথে তাঁর চিন্তা চেতনার জগতের বিরুদ্ধতা।
সমুদ্র তটে বসে জ্যোৎস্নালোকিত সমুদ্রের সৌন্দর্য দেখতে গিয়ে তার মাঝে বার বার কঠিন জীবন যাত্রা, এবং বাস্তবের রূঢ় দিকগুলো হানা দিয়েছে। তিনি স্বরণ করেছেন গ্রীক নাট্যকার সফোক্লিসের কথা। আজ থেকে হাজার বছর আগে ইজিয়ান সাগরের [AegeanSea] তীরে বসে সফোক্লিস ও [Sophocles] হয়তো এই শান্তির পরিবেশ অবলোকন করেছিলেন। কিন্তু এই শান্তির বিষয়গুলোতো তাঁর নাটকগুলোতে খুজে পাওয়া যায় না। তিনি বুঝতে পেরেছেন, কোথাও নির্মল আনন্দ আর শান্তি নেই, কোথাও তিনি শুনতে পান না অভয় বাণী, দেখতে পান না আশার আলো। পুরো পৃথিবীটা যেন ছেয়ে গেছে গভীর অন্ধকারে, আর এই অন্ধকারেই হানাহানি চলছে মানুষে মানুষে, যে কারণে আমরা তাঁর এ কবিতায় সমুদ্রের মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্যের মাঝেও হতাশার সুর লক্ষ্য করি। ম্যাথু আর্নল্ড ধনতান্ত্রিক সমাজ জীবনের একজন শান্তিকামী কবিসত্তা।
জগতের বিশাল ব্যাপ্তি আর জনকোলাহল থেকে নিজেকে সরিয়ে এনে আত্মকেন্দ্রিকতার মাঝে শান্তি অন্বেষণ করছিলেন তিনি। তিনি অস্থিরতা হতে সরে এসে শান্ত প্রকৃতির মাঝে অর্থাৎ ডোভার সমুদ্র সৈকতের শান্ত নিরিবিলি সৌন্দর্যের মাঝে শান্তি খুজতে এসেছিলেন। নিজেকে আকণ্ঠ নিমজ্জিত করেও শান্তি পাননি তিনি। বাস্তব সমাজ জীবনের সাথে বিরোধ থেকে গেছেই। সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্যকে উপেক্ষা করে তিনি অনুধাবন করলেন পৃথিবী থেকে বিশ্বাস ও ভালোবাসা উঠে গিয়েছে। তাই কোথাও আজ শান্তি নেই, নেই বিন্দুমাত্র আনন্দের খোরাক, নেই কোথাও একটুখানি ভালোবাসা, তার মনে হয়েছে পুরো জগক্টাই যেন অন্ধকারাচ্ছন্ন। আঁধারে সবাই যেন হানাহানিতে রত। কোনো আশার বাণী ধ্বনিত হয় না তার কবিতায়; যেন আশা-আকাঙ্ক্ষার জগৎ থেকে নিজেকে তিনি গুটিয়ে নিয়েছেন। মোট কথা ডোভার বিচ কবিতায়, আধুনিক সভ্যতার জীবন যন্ত্রণার কঠিন রূপ এবং নিজের কথিত হৃদয়ের বেদনাভার যেন মূর্ত হয়ে উঠেছে।
টিকা সমূহঃ
১। এজিয়ান সাগর-এটি ভূমধ্যসাগরের পাশে, গ্রীস ও তুরস্কের মাঝখানে অবস্থিত একটি সাগর। ইহা ৪০০ মাইল দীর্ঘ এবং ২০০ মাইল প্রশস্ত। এখানে অনেক দ্বীপ রয়েছে যেগুলো গ্রীস ও এশিয়া মাইনরের মধ্যে অবস্থিত।
২। সফোক্লিস (৪৯৬-৪০৬ খ. পূ.) গ্রীক নাট্যকার! ১২০টিরও বেশি নাটক লিখেছেন। তাঁর মাঝে মাত্র ৭টি নাটক এখন টিকে আছে। বাকি গুলো কালের আবর্তনে হারিয়ে গিয়েছে। তার বিখ্যাত নাটক ইডিপাস রেক্স, ইডিপাস এট কলোনাস, এন্টিগন, ইলেকট্রা, এজাক্স ইত্যাদি।
—————————————————————————————————————————————–