ইউলিসিস – লর্ড টেনিসন – বাংলা অনুবাদ
Ulysses – Alfred Tennyson – Bnagla translation
ইউলিসিস – লর্ড আলফ্রেড টেনিসন
কোনো লাভ নেই একজন আলসে রাজার মতো
বিগত যৌবনা স্ত্রীকে নিয়ে
এই পর্বতঘেরা নির্জন দ্বীপে বাস করে।
আমাকে প্রয়োগ করতে হবে অসম আইন
এই অশিক্ষিত বুনো জনতার মাঝে

কালো মেঘদল ঢেকেছে তারার আকাশ
ঝড়ে উত্তাল হয়েছে কালো সমুদ্র।
খ্যাতিমান আমি, সর্বদা ঘুরেছি স্থান হতে স্থানান্তরে
তৃষ্ণার্ত হৃদয় নিয়ে,
দেখেছি অনেক শহর, মানুষ, তাদের রীতিনীতি, সংঘ আর সরকার।
সামান্য জন আমি কিন্তু পেয়েছি সম্মান সবার।
আকণ্ঠ নিমজ্জিত হয়েছি যুদ্ধের উন্মাদনায়
সহযোদ্ধাদের সাথে দূর ট্রয়ের ঝটিকাক্ষুব্ধ পরিমণ্ডলে,
অংশ নিয়ে মিশেছি সেখানে;
সমস্ত অভিজ্ঞতা আজ দোর পথে ছুটে যায়
ঝিলিক দেয় অজানা জগতের অস্পষ্ট রেখা
সারা জীবনের তরে সারা জীবন এবং পুরোটা জীবন
স্থবির জীবন কতই না বিরক্তিকর, জীবিনের শেষ দিন পর্যন্ত।
জংপড়া অকেজো তরবারির মতো!
এ জীবন শুধু নিশ্বাস! জীবনের পর জীবনের আবরণ
আর খুবই স্বল্প সময় মোর তরে
প্রতিটি মুহূর্ত মোরা ব্যয় করি কোনো একটা কিছুর তরে
মৃত্যুর কাছ থেকে নিজেকে সযত্বে সরিয়ে রেখে,
জীবনের প্রতিটি ক্ষণ বড়ই দামি নিত্য বয়ে আনে নতুন জ্ঞান
জীবনের আরও তিনটি বছর হয়ত আমি আহরণ করব জ্ঞান
বুড়িয়ে যাওয়া আমার এই আত্মার সুগভীরে
অনুসরণ করব জ্ঞানের, ঠিক তারকার মতো,
যারা ডুবে যাওয়ার পূর্বে ঘুরে বেড়ায় আকাশে,
সাতরাব মানব জীবনের সীমাহীন অসীম লোক।
এই আমার পুত্র, নিজ পুত্র টেলেমেকাস,
আমার পরে রাজদণ্ড হাতে নেবে সে-
আমারই মতো একান্ত ভালোবাসায় পূর্ণ করবে
সে তার দায়িত্বভার, স্বাভাবিকভাবেই
প্রজাকুলকে বশ মানাবে শক্তি আর সহজ-নম্রতা গুণে ।
নির্দোষ সে, কর্তব্যকর্মে সদা নিষ্ঠাবান, কর্তব্যপরায়ণতা
থেকে কখনো বিচ্যুত হবে না
মাতার প্রতি থাকবে সে সদা নিষ্ঠাবান
ঈশ্বরের আরাধনায় থাকবে ভক্তি তার
যখন চলে যাব আমি, সে চালাবে তার কর্ম আমারই মতো ।
বন্দর হতে পাল তুলবে জাহাজ
অসীম সমুদ্রের অস্পষ্ট আঁধারে,
শ্রম আর প্রাণশক্তির প্রতীক আমার নাবিকেরা,
নিজেদের মেলাবে আমার সাথে-
পরমানন্দে স্বাগত জানাবে তারা
বজ্রবিদ্যুৎ আর সূর্যালোক ধারাকে
আর এসবের মুখোমুখি হবে মুক্ত হৃদয়ে- তুমি আমি তো বৃদ্ধ
বৃদ্ধেরাও বয়ে আনতে পারে সম্মান কর্মের জোরে,
মৃত্যু সব মুছে দিলেও, কিছুটা থেকে যায়।
কিছু সম্মানের কাজ তবুও করার থাকে,
ঈশ্বরের সাথে মানবের সংগ্রাম মানায় না।
কঠিন প্রস্তর মাঝেও জ্বলে ওঠে দীপশিখা;
দিন আসে দিন যায়; ক্রমে চাদ পৌছে পূর্ণতায়।
চারপাশে গুনগুন করে কত না শব্দাবলি
এস বন্ধুরা, দেরি নয়, চল খুজি নতুন জগৎ ।
নিজেকে শক্ত করে অগ্রগামী হও সবেগে
পাল তুলে এগিয়ে যাও, আকাশের তারা যে পর্যন্ত
না ডুবে যায় পশ্চিম সমুদ্র জলে,
সমুদ্রের নিচে বারি রাশি ধৌত করবে মোদের শরীর
অবশ্যই মোরা স্পর্শ লাভ করব পরম সুখের
দেখতে পাব মোরা যোদ্ধা একিলিসকে,
যাকে ভালো করে চিনি আমরা সবাই,
নাবিকেরা অভিজ্ঞতা অর্জন করবে আরো
মোদের তখন আগের মতো শক্তি নেই।
আমরা কে আসলে কে আমরা
সবাই মোরা একই প্রাণশক্তির অধিকারী বীর যোদ্ধা
সময় আর ভাগ্য মোদের করেছে দুর্বল
কিন্তু ইচ্ছেরা আছে এখনো অটুট শক্তিমান
আঘাত করবে, দেখবে, খুজে নেবে আর মানবে না হার।
##Discuss the three stages of Chaucer’s poetic development. /Chaucer as a poet.
##Why is Chaucer called the father of English poetry?
##What picture of Anglo Saxon life do you get in Beowulf?